হার্টে যে কোন সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ হার্ট সমস্যায় ভুগছেন। যতো দিন গড়াচ্ছে ততই এই রোগটি যেন মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ শুধু উন্নত বিশ্ব নয়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেও হার্টের রোগী এতো পরিমাণে বাড়বে যে, প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের হার্টের সমস্যা থাকবে।
তাই আমাদের প্রত্যেকেরই খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কায়িক পরিশ্রমের দিকেও নজর দিতে হবে। তাছাড়া হার্ট অ্যাটাক হলে প্রত্যেকেরই কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কেও ধারণা থাকা দরকার। আপনি একা থাকা অবস্থায় যদি আপনার হার্ট অ্যাটক হয় কিংবা অন্য যে কোন সময় যদি হার্ট অ্যাটাক হয় তাহলে আপনি কি করবেন? নিচের বর্ণনা থেকে জেনে নিন এর বিস্তারিত-
অ্যাটাকের সাধারণ লক্ষণ বুকের বাম দিকের একেবারে মাঝে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়। হার্ট অ্যাটাকের এটাই সবচেয়ে প্রাথমিক লক্ষণ। সাধারণভাবে প্রায় ২০ মিনিট ব্যথা থাকে। ধীরে ধীরে তা উপরে বাম দিকের হাত ও কাঁধের সংযোগস্থল, ঘাড় ও চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচণ্ড ঘাম হওয়া এ সময় প্রচণ্ড ঘাম হয় ও ধীরে ধীরে চারদিক অন্ধকার মনে হতে থাকে। একা থাকলে এমন লক্ষণ বুঝলে কখনই অবহেলা করবেন না। তাই পরিচিতদের খবর দিয়ে রাখুন। হার্টের রোগীরা সবসময় অ্যাম্বুলেন্সের মতো জরুরি পরিসেবার নম্বর হাতের কাছে রাখবেন। বাইরে রাস্তায় থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পাশের কারও সাহায্য নিন।
১। অ্যাসপিরিন সঙ্গে রাখুন হার্ট অ্যাটাকের সময় অ্যাসপিরিন নিলে অনেকটা উপকার হয়। একা থাকা অবস্থায় অ্যাসপিরিন নিলে প্রাথমিক অবস্থায় অনেকটা সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।
২। জোরে শ্বাস নিন বহুকাল ধরেই এই ব্যাপারটি চলে আসছে। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন, জোরে জোরে শ্বাস নিলে হার্ট অ্যাটাকের সময় অনেকটা উপকার হয়।
৩। বুকে চাপ দিন হার্ট অ্যাটাকের সময় চিকিৎসকরা অনেক সময়ে দুই হাত দিয়ে হার্টের উপরে চাপ দেন, যাতে হৃকম্পনের স্বাভাবিক গতি ফিরে আসে। বাড়িতে একা অবস্থায় নিজে থেকে এই পদ্ধতির ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪। কাশতে থাকা পুরনো হলেও এই টোটকা দারুণ কাজে দেয়। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে অনেক সময় হার্টের সমস্যায় জোরে জোরে কাশলে কোনো জায়গায় সামান্য ব্লক থাকলে তা খুলে যায়।